বলিউডের জন্য ক্যারিয়ার ছেড়েছিলেন যেসব তারকা

বলিউড তারকাদের অভিনয়ে মুগ্ধ ভক্তকুল। দেখলেই মনে হয়, ইস এই অভিনয়ের জন্য হয়তো কত সাধনাই না করছেন এসব তারকারা। কিন্তু তাঁর চেয়েও বড় কথা হচ্ছে, বলিউডে অভিনয়ের জন্য অনেকেই ছেড়ে এসেছেন শৈশবে স্বপ্ন দেখা শখের ক্যারিয়ারও। জানেন কি এই সময়ের হার্টথ্রব অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকন জাতীয় পর্যায়ের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। আমিশা পাটেল মরগ্যান স্ট্যানলির মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র বলিউডকে ভালোবেসে। তবে বলিউডও এসব তারকাকে নিরাশ করেনি।

অমিতাভ বচ্চন: অল ইন্ডিয়া রেডিওতে জকি হিসেবে কাজ করার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছিলেন অমিতাভ। তাঁর স্বপ্ন ছিল রেডিও জকি হওয়ার। কিন্তু কণ্ঠস্বর সংক্রান্ত সমস্যায় তাঁকে নিতে পারেনি এআইআর। যা ছিল অমিতাভের জন্য শাপেবর। এরপর তিনি বলিউডে অভিনয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে শুরু করেন, সুযোগও পেয়ে যান। এর পরে কি ঘটেছে, তা সকলেরই জানা মূলত সেদিন এআইআর থেকে প্রত্যাখান হওয়ার কারণেই দর্শক পেয়েছে আজকের বলিউড শাহেনশাকে।

আমিশা পাটেল: দীর্ঘ চোখের পাপড়ি এবং নির্মল ওই হাসির কাছে যেকোনো সৌন্দর্য ফিকে হয়ে যায়, তিনি হচ্ছেন বলিউড অভিনেত্রী আমিশা পাটেল। বোস্টনের টুফটস ইউনিভার্সিটি থেকে স্বর্ণ পদক পাওয়া আমিশার বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয় হৃদিক রোশনের বিপরীতে কাহো না পেয়ার হে সিনেমার মাধ্যমে। অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন দিয়ে তিনি এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়ো-জেনেরিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পড়াশুনা শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কান্ডওয়ালা সিকিউরিটি লিমিটেডে অর্থনীতি বিশ্লেষক হিসেবে কাজ শুরু করেন আমিশা। যদিও জীবন মনে হয় তাঁর জন্য অন্যকিছুই চিন্তা করে রেখেছিলো। জানা যায়, এক বিয়ের অনুষ্ঠানের হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশনের নজর কাড়ে আমিশা। ব্যস, আমিশার তারকা হওয়া আর ঠেকায় কে। হৃতিকের বাবা এবং আমিশার বাবা দীর্ঘদিনের বন্ধু। শোনা যায়, বলিউডে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য মরগ্যান স্ট্যানলির মতো প্রতিষ্ঠানের ক্যারিয়ারও ছেড়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

দীপিকা পাড়ুকোন: জানেন কি বলিউডের এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন ভারতের জাতীয় পর্যায়ের একজন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার কোনো ইচ্ছাও ছিল না তাঁর। দীপিকার বাবা প্রকাশ পাড়ুকোনও খ্যাতিমান ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। বাবার ইচ্ছা ছিল মেয়ে জাতীয় দলের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। কিন্তু দীপিকার ভাগ্যে মনে হয় অন্য কিছুই লেখা ছিল! তবে বাবার স্বপ্ন কিন্তু সত্যি হয়েছে, মেয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে ঠিকই। তবে খেলার মাঠে নয়, রূপালি পর্দায়।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.