হৃদপিন্ড সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখার কিছু নিয়ম
হৃদপিন্ড কি সেটি আশা করি বলতে হবে না। আমরা সবাই
মোটামুটি জানি মানবদেহের খুবই গুরুত্বপূর্ন এই অঙ্গটি সম্পর্কে। রক্তের মাধ্যমে
পুরো শরীরের অসংখ্য কোষে অক্সিজেন পরিবহনের কাজে মূল ভূমিকা পালন করে হৃদপিন্ড।
হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক কার্যকলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ন
একটি বিষয়। হৃদরোগে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তবে একটু
সচেতনতা এ থেকে রক্ষা করতে পারে অনেকাংশে। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে আপনিও হতে
পারেন একটি সুস্থ্য-স্বাভাভিক হৃদপিন্ডের অধিকারী। হৃদপিন্ড ভাল রাখার জন্য কিছু
নিয়ম নিয়েই এই পোস্ট।
* এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে হৃদরোগীদের অর্ধেকেরও বেশি
ধুমপায়ী। অধুমপায়ীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কম। তামাকে যেসব রাসায়নিক
উপাদান থাকে, তা ধমনী শরু করে দিতে পারে। এর ফলে সারা দেহে রক্ত পাম্প করতে
হৃদপিন্ডকে বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। এর ফলে হার্ট এট্যাক এর ঝুঁকিও বাড়ে
বহুগুনে।
এছাড়াও
সিগারেট এর ধোয়ায় থাকা কার্বন-মনো-অক্সাইড রক্তের অক্সিজেন এর পরিমান কমিয়ে দেয়।
আর তাই ধুমপান ছেড়ে দেয়ার চেস্টা করুন। এটি শুধুমাত্র হৃদরোগ নয়, বরং আরও অনেক রোগ
থেকে দূরে থাকতে আপনাকে সাহায্য করবে।
* অধিক
চর্বিযুক্ত খাবার হৃদপিন্ডের সবচেয়ে বড় শত্রুদের একটি। চর্বি, কোলেস্টোরেল, লবন
ইত্যাদি হার্ট এর জন্য খুবই খারাপ। চর্বি যুক্ত খাবার যেমনঃ গরুর মাংস, খাসির
মাংস, মুরগীর চামড়া, বড় চিংড়ি, কোমল পানীয়, ডিমের হলুদ অংশ ইত্যাদি খাবার যত কম
খাওয়া যায়, তত ভাল।
উত্তর হচ্ছে
ফল এবং শাক-সবজি এবং মাছ। এই খাবার গুলো খেতে কোন মানা নেই এবং যত ইচ্ছা তত খেতে
পারেন। মাংসের স্বাদ মাছে খুঁজে নেয়ার চেস্টা করুন আর ফলতো বরাবরই সুস্বাদু। বাকি
রইলো শাক-সবজি যেটা আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছা করে না। নিজ দ্বায়িত্বে খেয়ে নিয়েন
* দৈনিক
অল্পকিছু সময়ের ব্যায়াম আপনার শরীরকে রাখতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকিমুক্ত। নিয়মিত
ব্যায়াম ডায়াবেটিস এরও ঝুঁকি কমায় যেটি হৃদরোগের আরেকটি কারন। দৈনিক কমপক্ষে ৩০
মিনিটের হালকা ব্যায়ামই অনেক উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা যারা কম্পিউটারের
সামনে মূর্তির মত সারাদিন বসে থাকি, তারা হৃদপিন্ড বাঁচাতে চাইলে এখনই ব্রাউজার
বন্ধ করে ব্যায়াম শুরু করুন।
* ওজন স্বাভাবিক রাখার চেস্টা করুন। অতিরিক্ত ওজন
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় বহুগুনে। ওজন নিয়ন্ত্রনের জন্য BMI মিটার ব্যবহার করতে
পারেন। ওজন কমাতে
পারলে সেটি একদিকে যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, অন্য দিকে উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস
থেকেও মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।
* শরীর ও মনকে
প্রশান্ত রাখার চেস্টা করুন। এর জন্য ইয়গা, মেডিটেশন ইত্যাদি করে দেখতে পারেন।
* নিয়মিত দাঁত
মাজুন। হৃদপিন্ডে আবার দাঁত কেন কারন
দাঁতের রোগ অনেক ক্ষেত্রে হৃদরোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
এখানে নতুন
কিছুই আসলে লেখা হয়নি। এই বিষয়গুলো আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু মেনে চলি কয়জন?
মূল সমস্যাটা এখানেই। তবে সুস্থ থাকার ইচ্ছা থাকলে এসব ব্যাপারগুলো মেনে চলা খুব
একটা কঠিন কিছু নয়।
Leave a Comment